খাগড়াছড়িতে সড়ক পরিবহন আইনে গত এক বছরে ৩ হাজার ২শ বিভিন্ন যানবাহনকে বিভিন্ন অপরাধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় হয়েছে প্রায় নব্বই লাখ টাকার মতো।
এছাড়াও চালকদের (সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলুন, নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলুন) প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট শাপলা চত্ত্বর, কোর্ট চতুর, চেঙ্গী স্কয়ার, জিরো মাইল পয়েন্ট ও বিভিন্ন থানা এলাকায় রেজি. বিহীন, হেমলেটবিহীন, ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন, ফিটনেসবিহীন, হাইড্রোলিক হর্ণসহ বিভিন্ন অপরাধে ট্রাফিক বিভাগ ওই মামলা রুজু করেন।
জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দেব জানান, খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) স্যারের নির্দেশে আমরা সড়কের শৃঙ্খলা বৃদ্ধিতে কাজ করে চলেছি, খাগড়াছড়ি জেলা পর্যটন নগরী হওয়ায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ১শ টির ও অধিক বাসসহ অন্য যানবাহন প্রতিদিন গমনাগমন হয় এছাড়াও বনজ শিল্প উন্নয়নে বাঁশ, কাঁঠ পরিবহনে আরও প্রায় শতাধিক গাড়ির গমনাগমন ঘটে।
পুরোনো পৌর বাস টার্মিনাল আয়তনে খুবই ছোট হওয়ায় বেশি সংখ্যক গাড়ির জায়গা না হওয়ায় চালকরা সড়কের পাশে রাখতে বাধ্য হন। শুধুমাত্র আইন প্রয়োগ করে পার্কিং সমস্যা সমাধান সম্ভব নয় বলে জানান ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সুপ্রিয় দেব।
তিনি আরো বলেন, শহরের বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তি ও স্টোকহোল্ডারদের সহায়তা ছাড়া টার্মিনাল বিকেন্দ্রিকরণ কিংবা সমপ্রসারণ পার্কিং সমস্যা সমাধানে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের রাস্তা ব্যবহার এবং ট্রাফিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্বুদ্ধকরণ কর্মশালা ও পেশাজীবী চালক ও হেল্পারদের নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক কর্মশালা এবং ভ্রাম্যমাণ চালকদের সড়ক পরিবহনে সতর্কীকরণ বিষয়ে লিফলেট ও ফেস্টুন বিতরণ করেন জেলা ট্রাফিক।
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার বলেন, জেলায় শিল্প প্রতিষ্ঠান না থাকায় অনেক শিক্ষিত ছেলে বেকারত্ব দূরীকরণে টমটম, ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহন চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
জেলার ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা আরো উন্নত করতে হলে সকল নাগরিক ও স্টোকহোল্ডারদের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সড়ক পরিবহনে শৃংখলা ফিরাতে আইনগত ব্যবস্থার পাশাপাশি জনসচেনতাই অধিক কার্যকর ভূমিকা রাখবেন বলে জানান তিনি।
টিএইচ